ইউনিসেফ এর হিসাব অনুযায়ী ১০ থেকে ১৭ বছরের বাংলাদেশি শিশুদের এক তৃতীয়াংশ কোন না কোন ভাবে অনলাইনে আগ্রাসন, হয়রানি বা সাইবার বুলিং এর শিকার হয়।

আবার অন্যদিকে বাংলাদেশের শিশুদের একটা বিশাল অংশই কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পায় না। তাই চ্যালেঞ্জ আসলে ২ টি। প্রথমত শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের বিশাল তথ্য ভান্ডার এ অবাদ বিচরন নিশ্চিত করা এবং সেখানে তাদের নিরাপদ বিচরন নিশ্চিত করা।

সুপার কিড ইনিশিয়েটিভস শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই:

১. শিশুরা যেন নিরাপদে ইন্টারনেটের জগতের বিশাল জ্ঞান সমুদ্রে বিচরন করতে পারে।

২. শিশুরা যেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে সুস্থ বিনোদনের সুযোগ পায়।

৩. শিশুরা ইন্টারনেটে আর কম্পিউটার স্ক্রিনে আসক্ত না হয়ে বই এর পাশাপাশি শিক্ষার আরও একটি মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করে।

৪. শিশুরা যেন হয়রানি, আগ্রাসন আর সাইবার বুলিং মুক্ত অনলাইন জগত পায়।

  

এই লক্ষ্যে পৌছাতে আমাদের বহুমুখি উদ্যোগ রয়েছে:

১. আমরা স্কুলে গিয়ে শিশুদের সচেতন করতে সেমিনার করে যাচ্ছি।

২. আমরা ডিজিটাল কনটেন্ট/ভিডিও তৈরি করে ডিজিটাল লিটারেসি ও ইন্টারনেট সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে চলেছি।

৩. শিশুদের কিভাবে অনলাইনে নিরাপদ রাখা যায় তা নিয়ে আমরা শিক্ষক ও পিতামাতাদের জন্য বিশেষ কোর্স তৈরি করেছি।

৪.  আমরা তৈরি করতে চলেছি শিশুদের জন্য বিশেষ নিরাপদ ইন্টারনেট এপ যা হবে AI নির্ভর। 

৫. আমরা শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট কমিকস তৈরি করতে চাই যেন শিশুরা সহজে এ বিষয়ে শিখতে পারে।